সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

একক মালিকানায় একাধিক গণমাধ্যম না রাখার সুপারিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২-৩-২০২৫ বিকাল ৫:৪৫

একক মালিকানায় একাধিক গণমাধ্যমের মালিকানা না রাখার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। তারা বলেছেন, এক উদ্যোক্তার একটি গণমাধ্যম (ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া) নীতি কার্যকর করাই গণমাধ্যমে কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধের সেরা উপায়।

আজ শনিবার (২২ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তা জমা দেন।

গণমাধ্যমের মালিকানা সংক্রান্ত সুপারিশে কমিশন বলছে, মাঝারি ও বৃহৎ মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া উচিত।

উদ্যোক্তা পরিচালক ও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেয়ার ধারণের সীমা ২৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত করা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে শেয়ারবণ্টন বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে কমিশন।

কর্মীদের শেয়ার ধারণের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচ শতাংশেই সীমিত রাখতে হবে, যাতে উদ্যোক্তারা কর্মীদের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন। ছোট আকারের মিডিয়া কোম্পানিতে কর্মীদের শেয়ার দেয়া বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।

গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণ যেন কোনোভাবেই ঘটতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেয়া। কমিশন মনে করে, এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও অচিরেই অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। ক্রস-ওনারশিপ নিষিদ্ধ করে অর্ডিন্যান্স জারি করা যায় এবং যেসব ক্ষেত্রে এটি বিদ্যমান, সেগুলোয় পরিবর্তন আনার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাদের ব্যবসা পুনর্গঠনের লক্ষ্য ঠিক করে দেয়া প্রয়োজন।

কমিশন বলছে, এগুলো নানা পদ্ধতিতে হতে পারে। যেসব কোম্পানি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বা পরিবার একই সঙ্গে টেলিভিশন ও পত্রিকার মালিক তারা যে কোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করে দিতে পারে। অথবা দুইটি মিডিয়ার (টেলিভিশন ও পত্রিকাকে) সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও বড় আকারের একটি মিডিয়া (টেলিভিশন অথবা দৈনিক পত্রিকা) পরিচালনা করতে পারে।

গণমাধ্যমের মালিকানা সংক্রান্ত সুপারিশে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ বিনষ্ট করে, এমন ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার। একক মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকা বা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে। সেই সাথে গণমাধ্যমের যে প্রভাবক ক্ষমতা, তা নিজ স্বার্থে কেন্দ্রীভূত করে। সে কারণে এই ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার। বিদ্যমান এ ব্যবস্থার দ্রুততম সমাধান করতে হবে। একই সাবান একাধিক মোড়কে বাজারজাত করা যেমন বাজারের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে, একই মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকাও গণমাধ্যমের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে এবং পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ‘এক উদ্যোক্তার একটি গণমাধ্যম (ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া)’ নীতি কার্যকর করাই গণমাধ্যমে কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধের সেরা উপায়।

গণমাধ্যমের মালিকানায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা প্রয়োজন, যাতে মানুষ জেনেশুনে তার পছন্দ (ইনফর্মড চয়েজ) বেছে নিতে পারে। তাছাড়া এতে গণমাধ্যমে কালোটাকার অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহিত হবে। গণমাধ্যমকে প্রতিবছর তার আর্থিক হিসাব উন্মুক্ত করতে হবে, যাতে তার আয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।

Parisreports / Parisreports

ভিসা জালিয়াতিতে জড়িতরা কখনো যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না

‘থ্রি জিরো’ ভিশনে জোর দিতে বিশ্ববাসীকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আজ ইস্টার সানডে

বনানীতে খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা জুলাইয়ে

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

রাজধানীর ডেমরায় ফার্নিচারের দোকানে মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড

৮ বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, হতে পারে শিলাবৃষ্টিও

বিশ্ববাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

হাজারো প্রাণের উচ্ছ্বাসে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

১ হাজার শয্যার হাসপাতালে অর্থায়ন করবে চীন

‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হবে সকাল ৯টায়