সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পদচ্যুত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী


ফ্রান্স প্রতিনিধি photo ফ্রান্স প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯-৯-২০২৫ রাত ১:১৪

ফ্রান্সে আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা। জাতীয় সংসদে আস্থা ভোটে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রু। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত ভোটে বায়রুর পক্ষে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য ভোট দেন, বিপক্ষে পড়ে ৩৬৪ ভোট। ফলে সংবিধান অনুযায়ী তাকে রাষ্ট্রপতি এমমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে বাধ্যতামূলকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হচ্ছে।

বাজেট বিতর্কই পতনের মূল কারণ
বায়রুর সরকার চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউরো সাশ্রয়ের প্রস্তাব করেছিল। এতে ব্যয় সংকোচন, নতুন কর আরোপ এবং জাতীয় ছুটির দিন কমানোর মতো পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত ছিল। কঠোর এই বাজেটকে সংসদে যেমন প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়, তেমনি সাধারণ মানুষের বিরক্তিও তীব্র আকার ধারণ করে। বিরোধীদলগুলোর অভিযোগ, প্রস্তাবিত সংস্কার শ্রমজীবী ও পেনশনভোগীদের জীবনযাত্রায় অযথা চাপ সৃষ্টি করবে।

অর্থনৈতিক সংকট ও ঋণের বোঝা
বর্তমানে ফ্রান্সের সরকারি ঋণ জিডিপির প্রায় ১১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ঋণ পরিষেবায় ব্যয় বাড়তে বাড়তে ২০২৯ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপের অন্যতম বড় অর্থনীতি হিসেবে ফ্রান্সের এই ঋণ সংকট ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষারত নীতিগত স্থিতিশীলতার জন্য।

প্রতিবাদ আন্দোলন ও সামাজিক অস্থিরতা
অর্থনৈতিক চাপ ও বাজেট পরিকল্পনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। “লেটস ব্লক এভরিথিং” আন্দোলনের কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে, গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সামাজিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারের পতন জনমনে আরও শঙ্কা তৈরি করেছে।

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
প্রধানমন্ত্রী বায়রুর পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের চ্যালেঞ্জের মুখে। এদিকে দেশটির চরম ডানপন্থি নেত্রী মেরিন লে পেন আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের বাজেট অনুমোদন করানোই নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ফ্রান্সের এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ইউরোপের রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ, শরণার্থী সংকট ও ইউরোপীয় অর্থনীতির মন্দার সময়ে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপীয় অংশীদাররা পরিস্থিতির প্রতি ঘনিষ্ঠ দৃষ্টি রাখছে।

Parisreports / Parisreports

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত

গাজা থেকে ফেরত পাওয়া তিন মরদেহ জিম্মিদের নয়: ইসরায়েল

দুই ‍মৃত জিম্মির বদলে ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিলো ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৯০

গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর

জ্যামাইকায় মেলিসা ধেয়ে আসছে ২৮২ কিমি বেগে

৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক

যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলছে ইসরায়েলের হামলা

ভারতে ছয় বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

আফগান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ৩০

কানাডার ওপর বিরক্ত ট্রাম্প

নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক