বৃহষ্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৩৬০০


আন্তর্জাতিক ডেস্ক photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮-৪-২০২৫ দুপুর ১১:৭

কয়েক দশকের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রতিবেশী মিয়ানমারে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া হতাহতদের সন্ধানে দেশটিতে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সোমবার রাজ্য প্রশাসন পরিষদের তথ্য দল জানিয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল আরও মৃতদেহ খুঁজে বের করার কাজ করছে বলেও জানিয়েছে তারা। সিনহুয়া নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫ হাজার ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং এখনও আরও ১৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার মহাশক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এরপর আরেকটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে। দেশটিতে এক শতাব্দির বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত বছরের প্রাচীন গির্জা ও আধুনিক ভবনও ধসে যায়।

ভূমিকম্পের পর সর্বপ্রথম চীন, রাশিয়া এবং ভারত সেখানে উদ্ধারকারী পাঠায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে যায়। তারা ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও তাদের শনাক্ত করার কাজটি করছেন।

পৃথিবীতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ সহায়তায়য় যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন দাতব্য সংস্থা ইউএসএইডের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও মিয়ানমারকে ৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে দেশটি জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দেবে এমন চিন্তা করা অযৌক্তিক।

এদিকে সাগাইং অঞ্চলে ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতা ও মানবিক প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সামরিক সরকারের অনুমোদন ছাড়া অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না সেখানে।

জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) জানিয়েছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে সাগাইং অঞ্চলে কমপক্ষে ৬৯৩ জন মারা গেছেন, মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতির অভাব এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের ধীরগতির কারণে উদ্ধার অভিযান বিলম্বিত হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ-এর প্রতিবেদনে সাগাইং-এর একজন বাসিন্দার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “উদ্ধার অভিযান কেবল কায়িক শ্রমের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। কারণ ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের জন্য ব্যাকহোর মতো কোনও ভারী যন্ত্রপাতি নেই। ফলস্বরূপ, অনেক মানুষ অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রাণ হারিয়েছেন।”

Parisreports / Parisreports

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর শীর্ষে বাংলাদেশিরা

ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানলেন জেলেনস্কি

গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল

ভারতীয় মুসলিমদের হজের কোটা ৮০ শতাংশ কমালো সৌদি আরব

ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারালেন ফিলিস্তিনি শিল্পী দীনা খালেদ

নোবেলজয়ী সাহিত্যিক মারিও বার্গাস য়োসা আর নেই

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে সাফ-এর বিক্ষোভ সমাবেশ

রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে ‘কঠোর ব্যবস্থার’ দাবি ম্যাক্রোঁর

১৪০ দেশের অংশগ্রহণে দৌড়ের ছন্দে জেগে উঠল প্যারিস

নাইজেরিয়ায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নিহত ৮, আহত ২১

গাজার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “প্যারিস ম্যারাথন ২০২৫”