শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

ফ্রান্সের মসজিদে মুসলিম যুবককে কুপিয়ে হত্যা, বিক্ষোভে উত্তাল জনতা


সাইফুল ইসলাম রনি photo সাইফুল ইসলাম রনি
প্রকাশিত: ২৮-৪-২০২৫ বিকাল ৫:৫৯

ফ্রান্সের একটি মসজিদে ছুরিকাঘাতে মালির এক তরুণ আবুবকর সিসের হত্যার প্রতিবাদে ২৭ এপ্রিল ২০২৫ রবিবার প্যারিসের প্লেস দে লা রিপাবলিকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ সমাবেশে এলএফআই নেতা জিন-লুক মেলানচন এবং গ্রিন পার্টির নেতা মেরিন টন্ডেলিয়ার সহ বিভিন্ন দলের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং আবুবকর সিস এর হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার চান। গতকাল বিক্ষোভে অংশগ্রহণ কারি ত্রিশ বছর বয়সী মারিয়াম বলেন, “আমরা আবুবকরকে সমর্থন করতে এসেছি এবং তার মৃত্যুর পেছনে, ফ্রান্সে ইসলামোফোবিয়া কাজ করেছে”।তিনি আরও বলেন "ফ্রান্সে ইসলামফোবিয়া স্বাভাবিক হয়ে গেছে, আমাদের শ্বাসরোধ করা হচ্ছে, বর্ণবাদী হওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেছে”।

নিহত আবুবকর সিস এর ভাই ইয়োরো সিস বলেন "এটা সত্যিই আমাকে মর্মাহত করেছে, আমার হৃদয়কে কষ্ট দিয়েছে, কিন্তু এই সমস্ত সমর্থন দেখে আমি স্বস্তি পেয়েছি।সর্বোপরি, এটা বর্বরতার একটি কাজ। আমি বর্ণবাদ শব্দটি পছন্দ করি না। তিনি আরও বলেন, এক বছর ধরে তিনি তার ভাইকে দেখেননি। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন যিনি সবাইকে ভালোবাসতেন এবং খুব সম্মান করতেন।

LFI নেতা জিন-লুক মেলানচন এবং গ্রিন পার্টির নেতা মেরিন টন্ডেলিয়ারের মতো বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। বাম নেতা জিন-লুক মেলানচন মন্ত্রী ব্রুনো রিটেইলউকে লক্ষ্য করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন একটি ইসলামোফোবিক পরিবেশ বজায় রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন "যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইসলামবাদের বিরুদ্ধে একটি সমাবেশের বলেন 'পর্দা নিপাত যাক', তখন আমরা কি কল্পনা করতে পারি যে কেউ 'ক্রুশবিদ্ধ নিপাত যাক' বলে চিৎকার করবে?" আমি বিস্মিত হয়েছিলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার ফ্রান্সের গার্ডের শহরের নামাজ চলাকালে এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবকের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই ওই যুবক নিহত হন। 

পুলিশ জানায়, হামলাকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ঘৃণামূলক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলাকারীর পরিচয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবে তার অতীতেও উগ্র আচরণের রেকর্ড ছিল বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পূর্ব পরিকল্পিত একটি হামলা হতে পারে।

ঘটনার পরপরই শহরের মুসলিম সম্প্রদায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা মসজিদের বাইরে জড়ো হয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। মুসলিম নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।"

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিভিশন বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নজরদারি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

Parisreports / Parisreports

জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্মের রেকর্ড

ঈদুল আজহার আগের রাতে লেবাননে হামলা ইসরায়েলের

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে আফ্রিকার দেশ চাদ

পবিত্র হজ আজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফা

১২ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন ট্রাম্প

গাজার পরিস্থিতি নরকের চেয়েও খারাপ

যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে রেকর্ড ২২০০ অভিবাসী গ্রেফতার

রিলস বানানোর সময় যমুনায় ডুবে ৬ কিশোরীর মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন লি জে-মিয়ং

পাকিস্তানে কারাগার থেকে পালালো ২০০ বন্দি

আজ শুরু হচ্ছে পবিত্র হজ

সিকিমে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধস, আটকা প্রায় ১৩০০ পর্যটক

‘দুর্দান্ত’ ইলন মাস্ককে বিদায় জানালেন ট্রাম্প