চাকসু নির্বাচনের প্রচারণা শেষ, অপেক্ষা ভোটের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার পর থেকে টানা ১৮ দিনের উৎসবমুখর প্রচারযুদ্ধ শেষ হয়। পোস্টার-ব্যানারে মোড়ানো ক্যাম্পাস, মিছিল-স্লোগানে মুখরিত দিনগুলো এখন অপেক্ষায়—১৫ অক্টোবরের ভোটযুদ্ধের।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, সোমবার রাত ১১টার পর থেকে বন্ধ হয়েছে সব ধরনের প্রচারণা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনির উদ্দিন বলেন, ‘রাত ১১টার পর থেকে কোনো প্রার্থী আর প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এরপর কেউ প্রচার চালালে তা আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।’
২৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা ও ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। ১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ চলে, ১৮ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় নির্বাচনী প্রচারণা। এ সময় পুরো ক্যাম্পাসে বয়ে যায় নির্বাচনি হাওয়া। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট চান।
সরাসরি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও জমে ওঠে প্রচারণা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এমনকি টেলিগ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে নির্বাচনি আমেজ। অনেক প্রার্থী ও প্যানেল আলাদা পেজ খুলে গ্রাফিক ডিজাইন করা ব্যানার, অনলাইন পোস্টার, ফটোকার্ড, ম্যানিফেস্টো ও প্রমোশনাল ভিডিও প্রকাশ করছেন। অনলাইনভিত্তিক এই প্রচারণা বাস্তব প্রচারের সমান্তরালে আরেকটি ‘ডিজিটাল ময়দান’ তৈরি করেছে। পথসভা, পরিচিতি সভা, লিফলেট বিতরণ করেন প্রার্থীরা। সবমিলিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে অন্যরকম নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রার্থীরা তাদের ইশতেহারে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন। তবে, বাস্তবায়ন করবেন কি না সেটা দেখার বিষয়। ইশতেহার বাস্তবায়নে যারা কাজ করবেন তারাই নির্বাচিত হবেন।
৫ আগস্ট পরবর্তী শিক্ষার্থীবান্ধব কাজগুলোও ভোট দেওয়ার সময় বিবেচনায় রাখবেন। এ ছাড়া প্যানেল দেখে নয় বরং সৎ, যোগ্য এবং চাকসু পরিচালনার জন্য দক্ষ ব্যক্তিকেই নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৬টি, হল সংসদের ১৪টি এবং হোস্টেল সংসদের ১০টি পদে ভোটগ্রহণ হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এবার চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদে ৪৯৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।
Parisreports / Parisreports

চাকসু নির্বাচনের প্রচারণা শেষ, অপেক্ষা ভোটের

দ্বিতীয় দিনে গড়াল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি

মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের ২৩টিতেই জয় শিবিরের

মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হাজারো শিক্ষক প্রেস ক্লাবের সামনে, যান চলাচল বন্ধ

ফের দেশসেরা নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা স্কুল

এইচএসসির প্রথম দিনে অনুপস্থিত ২০ হাজার, বহিষ্কার ৪৩

এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক-স্যানিটাইজার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু

রাবিতে ছাত্রজোট ও শাহবাগবিরোধীদের সংঘর্ষ

আজ থেকে কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা
