বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

মঞ্চে আসছে নবরসের নতুন নাটক 'সাতকাহন'


বিনোদন ডেস্ক photo বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১-১-২০২৫ দুপুর ১:১১

“নবরস” নৃত্য ও নাট্য দল নতুন বছরের শুরুতে মঞ্চে নিয়ে আসলো, তাদের ৪র্থ প্রযোজনা নতুন নাটক - “সাতকাহন”। উদ্ভোধনী মঞ্চায়নসহ মোট তিনটি শো মঞ্চায়ন হবে ঢাকার বেইলী রোডের মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে দোসরা জানুয়ারি সন্ধ্যা- সাড়ে ৬টায় এছাড়া তেসরা জানুয়ারি বিকাল ৫টায় একটি শো এবং সন্ধ্যা ৭টায় আরো একটি শো মঞ্চায়ন হবে।

নাটকটির কাহিনি গড়ে উঠেছে এক পাঁচ তারকা হোটেলের লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি, এরই সাথে শহরের ব্ল্যাকআউটে আটকা পড়ে তিন ভিন্ন জগতের তিন নারী—এক উচ্চাকাঙ্খী উঠতি অভিনেত্রী, এক গৃহবধূ, আর এক যৌনকর্মী। প্রথমে সন্দেহ, তর্ক আর অপমানের জালে জড়িয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে নিজেদের জীবনের গল্পে তারা একে অপরকে চিনতে শুরু করে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শোষণ, বঞ্চনা আর ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প তাদের এক অদ্ভুত বন্ধনে আবদ্ধ করে। লিফট সচল হলে, নির্দিষ্ট ফ্লোরে পৌঁছেও তারা আর বের হয় না। কারণ, তারা বুঝে গেছে, তারা একই পুরুষের প্রতারণার শিকার এবং একে অপরের শত্রু নয়, বরং একই লড়াইয়ের সহযাত্রী।

নাটকটির নির্দেশক শামছি আরা সায়েকা বলেন, কন্যা-জায়া-জননী এই ৩ টি শব্দের তাৎপর্য বিশাল । একজন নারীকে মা হিসেবে, কন্যা হিসেবে বা স্ত্রী হিসেবে যে সম্মান সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন তা অতুলনীয়। অপর দিকে , বেহেস্তের “হুর” তৈরিতে সম্মানের স্থানটা দোদুল্যমান হয়ে পরে মানব মননে। সৃষ্টিকর্তা সকল সৃষ্টির ঊর্ধ্বে। তিনি যে সম্মান, গুরুত্ব ও মর্যাদা নারীদের দিয়েছেন, সে দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবারের-সমাজের কাছ থেকে, পাচ্ছে কিনা বা মিলছে কিনা,তা নিয়ে সন্ধিহান গোটা পৃথিবী। পুরুষ শাসিত সমাজে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে, নারীদের জীবনের এই নাটকীয় অবস্থান। 

নাটকটিতে অভিনয় করছেন রোজী সিদ্দিকী, সৈয়দা শামছি আরা এবং মিতা গাঙ্গুলী। 

নাটকটির নাট্যকার শামীম সাগর বলেন, একজন উচ্চাকাঙ্খী উঠতি অভিনেত্রী, একজন গৃহবধূ, আর একজন যৌনকর্মী—তিন ভিন্ন শ্রেণির এই নারীদের জীবনের টুকরো টুকরো গল্প আমার লেখায় জুড়ে আছে। যান্ত্রিক ত্রুটিতে লিফটে আটকে পড়া এই তিনজন প্রথমে সন্দেহ ও অপমানে পরস্পরকে বিচ্ছিন্ন করলেও, পরবর্তীতে তারা বুঝতে পারে যে সমাজের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম একই। লিফট সচল হলেও, তারা একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা এবং ভেতরের শক্তি আবিষ্কার করে। আশা করি, দর্শক নারীদের সাতকাহন দর্শন ও শ্রবণে ভাবিত হবেন, আবেগে ভাসাবেন নিজেদের, অন্তরের আয়নায় নিজেদের নতুন করে দেখবেন নিশ্চিতভাবে। আপনাদের ভালোলাগা আমার অনুপ্রেরণা। আপনাদের ভালোবাসা “সাতকাহন”কে পূর্ণতা দেবে।

Parisreports / Parisreports