মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাত খুন মামলার রায় কার্যকর করতে মানববন্ধন


জেলা প্রতিবেদক photo জেলা প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫-৪-২০২৫ বিকাল ৬:২১

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাত খুন মামলার বাদী ও নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, ভাই নূর মোহাম্মদ, আব্দুস সালাম, নিহত তাজুল ইসলামের বাবা আবুল খায়ের, তার ছোট ভাই রাজু আহমেদ, নিহত গাড়ী চলক জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূপুর ও তার সন্তান সহ স্থানীয় অনেকেই।

মামলার বাদী ও নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, আমরা আমাদের স্বজনেদর হারিয়েছি ১১ বছর পার হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টৈ রায় টি ঝুলে আছে খুনিদের ফাঁসি দেয়নি। বিচার বিভাগ ও অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের কাছে আমাদের একটাই দাবি যে অন্তত আমাদের ৭ টা পরিবারের কথা চিন্তা করে বিচার কার্যক্রম শেষ করবে। আইন উপদেষ্টার প্রতি আবেদন করছি যে আমরা সাতটা পরিবার কর্তা হারা হয়েছি। আমাদের অবস্থা বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত মামলাটা নিষ্পত্তি করা হোক। আমরা এইটুকু দেখে যেতে চাই।

নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সামছুন নাহার নুপুর বলেন, আমার স্বামীর হত্যার সময়ে আমার মেয়ে গর্ভে ছিল। এখন আমার মেয়ের বয়স এখন ১১ বছর। অথচ এখন পর্যন্ত  আমার মেয়ে তার পিতা হত্যার বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে মামলা ঝুলে রয়েছে। আমরা প্রধা৷ন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করছি যে অন্তত আমাদেরকে এই হত্যার বিচারটা শেষ করে দেওয়া হোক। আমরা অসহায়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে এক মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবি চন্দন সরকারসহ সাতজন অপহরণ হয়। অপহরণের দু’দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনা থেকে হাত-পা বাঁধা এবং শরীরে ইট প্যাকেট করা সাত জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন ফতুল্লা থানায়। পরে আদালত আসামীদের স্বীকারোক্তি, জবানবন্দি ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩৩ মাস পর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারী রায় প্রদান করেন।

এতে ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৯ জন কে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ আপিল করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৮ সালে ২২ আগস্ট হাই কোর্ট সাত খুনের অন্যতম আসামি সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন, এম এম রানা সহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে। আর বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। তারমধ্যে অনেক আসামি পলাতক রয়েছে।

Parisreports / Parisreports

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা

কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে যুবকের মৃত্যু

একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ

বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত ২

মাগুরায় কবরস্থান থেকে ৯২টি লাইট চুরি

খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

সাভারে লরিচাপায় প্রাণ গেল নারী-শিশুসহ ৩ জনের

সুনামগঞ্জে শ্রমিক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্বে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৫

রাস্তার কাজের অনিয়ম: এলজিইডির কার্য সহকারীকে গণপিটুনি

থানায় এএসআইকে ছুরিকাঘাত করা সেই যুবকের লাশ মিলল পুকুরে

নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬