পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ না পেলে যুদ্ধের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

বিশ্বের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের দৃঢ় অবস্থান ফের ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি খালের নিয়ন্ত্রণ না আসে, তাহলে সামনে ‘খুব শক্তিশালী কিছু একটা’ ঘটবে সেখানে।
রোববার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, “চীন পানামা খাল পরিচালনা করছে। এই খাল আমরা চীনকে দিই নি…পানামাকে দিয়েছিলাম এবং সেটি ছিল একটি নির্বোধ সিদ্ধান্ত। আমরা সেই খাল ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনব এবং আনবই। যদি তা না ঘটে, তাহলে খুব শক্তিশালী কিছু একটা ঘটবে।”
প্রসঙ্গত, মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা ভৌগলিকভাবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সংযোগস্থলে অবস্থিত। ৭৫ হাজার ৪১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতেই রয়েছে পানামা খাল, যা মিসরের সুয়েজ খালের পর বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচল উপযোগী বাণিজ্যপথ। প্রায় ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১১০ ফুট প্রশস্ত এই খালটি আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
পানামা খাল না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূল অভিমুখে যাত্রাকারী যেকোনো জাহাজকে দক্ষিণ আমেরিকার কেইপ হর্ন হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কিলোমিটার (৮ হাজার নটিক্যাল মাইল) পথ অতিক্রম করতে হতো। এছাড়া উত্তর আমেরিকার এক দিকের উপকূল থেকে দক্ষিণ আমেরিকার অন্য দিকের উপকূলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও পানামা খালের কারণে ৬৫০০ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিতে হয়।
১৯১৪ সালে চালু হওয়া এ খালটি খনন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে ১৯৭৭ সালে দেশটি পানামার সঙ্গে একটি চুক্তি করে খালটি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য। তবে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দুই দেশ যৌথভাবে পানামা খাল নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।
লাতিন আমেরিকার দেশ পানামার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠই ছিল। তবে ২০২৩ সালে পানামার সাথে চীন নতুন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের আলোচনা শুরুর পরই পানামার সাথে সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর ট্রাম্প এখন অভিযোগ তুলছেন, মধ্য আমেরিকান দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ও অন্য নৌযান থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে।
প্রসঙ্গত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রই পানামা খাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।
গত ২৩ ডিসেম্বর প্রথমবার পানামা খাল দখলের হুমকি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, “ওই খালের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ পানামা এবং তার জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এবং সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বদান্যতা। কিছু শর্তে পানামার তৎকালীন সরকার রাজি হয়েছিল বলেই খালের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।”
তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের এ দাবির পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জোসে রাউল মুলিনো বলেছিলেন, এই খালের মালিক পানামা এবং কোনো কিছুর বিনিময়েই এই মালিকানা ছাড়বে না পানামার জনগণ।”
ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে জাতিসংঘে নালিশও জানিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট।
Parisreports / Parisreports

নেপালে অরাজকতা, দেশজুড়ে কারফিউ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি

পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পদচ্যুত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী

জেরুজালেমে বাস স্টপে বন্দুক হামলা : নিহত ৬

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ২০

আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প

লাগাতার হামলায় গাজায় নিহত আরও ৭৫

মালয়েশিয়ায় রাতের আঁধারে ৪০০ বাংলাদেশি আটক

বিশেষ বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চীন যাচ্ছেন কিম

১৪ বছর পর বহির্বিশ্বে তেল রফতানি শুরু করলো সিরিয়া

সুদানে ভয়াবহ ভূমিধস, ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি পর্যটক

সাত বছর পর চীন সফরে নরেন্দ্র মোদিc
