বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫

বাংলাদেশিদের জন্য ‘গোল্ডেন ভিসা’ আরও সহজ করল আমিরাত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭-৭-২০২৫ রাত ১১:৪২

বড় অংকের আর্থিক বিনিয়োগের বিনিময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্রুততম সময়ে বিদেশি নাগরিকদের বসবাসের অনুমতি পাওয়ার একটি উপায় হল গোল্ডেন ভিসা। তবে এবার বাংলাদেশিদের জন্য গোল্ডেন ভিসার শর্ত শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এতে বাংলাদেশিদের গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার জন্য ব্যবসা বা সম্পত্তিতে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশিদের সঙ্গে ভারতীয়রাও পাবেন এই সুবিধা। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা পেতে দেশটিতে কোনো ব্যবসা অথবা কমপক্ষে ২০ লাখ দিরহাম ( প্রায় ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা)  মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হতো। তবে নতুন 'মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা নীতি'র আওতায় বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা মাত্র ১ লাখ দিরহাম (প্রায় ৩৩ লাখ টাকা) ফি দিয়ে গোল্ডেন ভিসা বা আজীবন দেশটির বসবাসের সুযোগ পাবেন। 

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই নতুন ভিসা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ভারতীয় এই নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই পাইলট প্রকল্প সফলভাবে শেষ হওয়ার পর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য সিইপিএ (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) আওতাভুক্ত দেশগুলোতেও এই নতুন ভিসা চালু করা হবে।

রায়াদ গ্রুপ নামে একটি পরামর্শক সংস্থা ভারত ও বাংলাদেশে মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার প্রাথমিক রূপটি পরীক্ষা করার দায়িত্ব পেয়েছে। নতুন এই ভিসাকে ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের জন্য একটি 'সুবর্ণ সুযোগ' বলে অভিহিত করেছেন রায়াদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব।

ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, নতুন গোল্ডেন ভিসার আবেদনকারীদের কঠোর ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এর আওতায় আবেদনকারীদের অর্থপাচার এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যকলাপও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হলো, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজার এবং ব্যবসাগুলো আবেদনকারীর কাছ থেকে সংস্কৃতি, অর্থ, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, স্টার্টআপ, পেশাদার পরিষেবা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কীভাবে উপকৃত হতে পারে, তা যেন নির্ধারণ করা যায়।

আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাইয়ের পর রায়াদ গ্রুপ তার আবেদনপত্রটি সরকারের কাছে পাঠাবে এবং সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তর মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আবেদনকারীদের দুবাই ভ্রমণ করতে হবে এবং তারা নিজ দেশ থেকে প্রাথমিক অনুমোদন নিতে পারবেন। 

আবেদনগুলো ভারত ও বাংলাদেশের ‘ওয়ান ভাস্কো সেন্টার’ (ভিসা কনসিয়ারজ সার্ভিস কোম্পানি), রায়াদের নিবন্ধিত অফিস, অনলাইন পোর্টাল, অথবা তাদের বিশেষায়িত কল সেন্টারের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে।

নতুন ভিসার সুবিধা কী?

এই নতুন ভিসার অন্যতম বড় সুবিধা হলো, এটি সম্পত্তি-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসা থেকে আলাদা। সম্পত্তি-ভিত্তিক ভিসা সম্পত্তি বিক্রি বা ভাগ হয়ে গেলে বাতিল হয়ে যেতে পারে, কিন্তু মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা একবার পেলেই তা স্থায়ী হবে।

রায়াদ কামাল আইয়ুব বলেন, ‘যারা এই ভিসার জন্য মনোনীত হবেন, তারা তাদের পরিবারও আমিরাতে নিয়ে আসতে পারবেন এবং তাদের ভিসার ওপর ভিত্তি করে গৃহকর্মী ও গাড়িচালক রাখতে পারবেন। এছাড়া তারা আমিরাতে যেকোনো ব্যবসা বা পেশাদার কাজ করতে পারবেন।’

Parisreports / Parisreports

সৌদিতে ১৭ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাবনা আ. লীগের নেতা গ্রেফতার

বাংলাদেশিদের জন্য ‘গোল্ডেন ভিসা’ আরও সহজ করল আমিরাত

পুতিনের বরখাস্তের পর আত্মহত্যা রাশিয়ার পরিবহনমন্ত্রীর

ইন্দোনেশিয়ায় অজগরের পেটে মিলল কৃষকের দেহ

প্যারিসে উদযাপিত হলো প্যারিস ট্রপিক্যাল কার্নিভাল

ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতের তিন মাস সময় শেষের পথে

টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের

গাজায় আরও ৬৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

চীনে সন্তান জন্ম দিলেই নগদ অর্থ পাবেন দম্পতিরা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনের মুখে ডলার