মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এবারও দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ইলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮-৯-২০২৫ রাত ৮:৪৮

ছয় বছর ধরে দুর্গাপূজার আগে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ। এবারও এ উপলক্ষ্য সামনে রেখে ভারতে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে দুর্গাপূজা। তার আগে বাংলাদেশের ইলিশ পাচ্ছেন ভারতীয়রা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতীয় রপ্তানি নীতিতে (২০১৫-১৮) ইলিশ মাছ শর্তসাপেক্ষে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় রাখা হয়। পরের দুটি রপ্তানি নীতিতেও তা একই রকম রাখা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিবছরের ন্যায় চলতি ২০২৫ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে শর্তসাপেক্ষে রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে (বিকেল ৫টা পর্যন্ত) হার্ড কপিতে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২.৫ মার্কিন ডলার সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ইতোমধ্যে যারা আহ্বান ব্যতিরেকেই আবেদন করেছেন, তাদেরও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রয়োজনীয় কার্যার্থে ও অবগতির জন্য এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে তা মোট উৎপাদনের মাত্র শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া সরকার যে পরিমাণ রপ্তানির অনুমোদন দেয়, তার কম ইলিশ যায় ভারতে। যেমন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ টনের অনুমতি দিলেও বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সবমিলিয়ে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৮০২ টন।

ইলিশ রপ্তানির প্রথম অনুমতি দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। সেবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি কেজি ইলিশ ৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০৭ টাকা) দরে প্রথম তিন চালান পাঠানো হয়। পরে অবশ্য তা প্রতি কেজি ১০ ডলারে উন্নীত হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন বা ৪ লাখ ৭৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। এতে আয় হয় সাড়ে ৩৯ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। তখন প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১০, ৬ ও ৮ ডলার দামে রপ্তানি হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ টন রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ২৪ লাখ ডলার। প্রতি কেজির রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৮০ লাখ ডলার। তখন প্রতি কেজি ইলিশ মাছের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার বা ১ হাজার ৯৮ টাকা।

Parisreports / Parisreports

এবারও দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ইলিশ

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনীত হলেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

রাজধানীতে পুলিশকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় আটক ১০২

সাগরে লঘুচাপ, আরও ঘনীভূত হওয়ার আভাস

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজট

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন ভিসার ফি বাড়ছে ১৩৫ শতাংশের বেশি

সিলেটে পাথর লুট: জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করলো দুদক

পেঁয়াজের সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই, ডিমের ডজন ১৫০

খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে

জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ : মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ, নতুন ৪৫ লাখ